মো. সাগর আকন, বরগুনা: [২] শনিবার দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া নদীর উপর হলদিয়া হাট সেতু ভেঙে নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিন জন ও অপর নিহতরা সকলেই পরস্পর আত্মীয়। 

[৩] নিহত ৯ জনের মধ্যে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ৭ জন হলেন- রুবিয়া (৪৫), রাইতি খান (২২), ফাতেমা (৫৫), তাহিয়াত মেজবিন (৮), ফরিদা বেগম (৪৮), শাহনাজ আক্তার (৩৭), তাসফিয়া মুবাসসেরা (১২)। নিহতদের অপর ২ জন হলেন- আমতলী উপজেলার তক্তাবুনিয়া গ্রামের জাকিয়া (৩৫) ও রুকাইদ ইসলাম (৫)। 

[৪] জানা গেছে, শনিবার মেয়ে পক্ষের লোকজন বরের বাড়ীতে মাইক্রোবাস এবং অটোরিকশায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে হলদিয়া ব্রীজ পাড় হওয়ার সময় ব্রীজের মাঝের অংশ ভেঙ্গে যায়। এতে মাইক্রোবাস ও অটো গাড়ী নদীতে পড়ে যায়। 

[৬] অটোরিকশায় থাকা যাত্রীরা সকলে সাঁতরে কিনারে উঠতে পারলেও মাইক্রোবাসের যাত্রীরা নদীতে তলিয়ে যায়। 

[৭] প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন ও নাশির উদ্দিন বলেন, মাইক্রোবাস ও অটোগাড়ীটি ব্রীজের মাঝখানের আসা মাত্রই ব্রীজ ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক আমরা স্থানীয়দের নিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। 

[৯] মাইক্রোবাসে থাকা সোহেল মিয়া বলেন, মাইক্রোবাসে কনে পক্ষের ১৬ জন যাত্রী বরের বাড়ীতে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে হলদিয়া হাট ব্রীজের উঠামাত্রই ব্রীজ মাঝখান দিয়ে ভেঙ্গে মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে যায়। আমিসহ ৩ জন সাঁতরে কিনারে উঠতে পেরেছি। পরে স্থানীয়, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

[১০] একই পরিবারের তিন নিহতের স্বজন আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার কিছুই রইলো না। আমার দুই কন্যা ও স্ত্রী মারা গেল। 

[১১] আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ব্রীজ ভেঙ্গে মাইক্রোবাস নদীতে ডুবে নিয়ে বিয়ের কনে পক্ষের ৯ জন মানুষ মারা গেছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান